
প্রকাশিত: Sat, Mar 9, 2024 11:16 AM আপডেট: Mon, May 12, 2025 12:00 PM
[১]শেরপুরের নকলায় ইউএনও কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিককে ৬ মাসের কারাদণ্ড
তপু সরকার হারুন: [২] মঙ্গলবার শফিউজ্জামান রানা নামে ওই সাংবাদিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
[৩] রানার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের কাছে একটি প্রকল্পের ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ক্রয় করার তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। আবেদন করার পর আবেদনের রিসিভ কপি চান তিনি। এ সময় ইউএনও’র অনুমতি ছাড়া রিসিভ কপি দেবেন না বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের গোপনীয় সহকারী (সিএ) শিলা আক্তার।
[৪] ইউএনও মিটিংয়ে থাকায় সাংবাদিককে তিনি অপেক্ষা করতে বলেন শিলা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরও ইউএনওকে না পেয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসককে হয়রানির কথা উচ্চস্বরে ইউএনও’র কার্যালয়েই বসে বলেন ওই সাংবাদিক ।
[৫] এতে ইউএনও মিটিং রুম থেকে থেকে বের হয়ে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।
[৬] ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশনা দেন। সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
[৭] এ বিষয়ে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, ইউএনও অফিসে ঢুকে গোপন তথ্যের ফাইল নেওয়ার জন্য টানাটানি করেন ওই সাংবাদিক। বাধা দিলে অফিসের এক নারী কর্মচারীর সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর আলী বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক রানাবে শান্ত করার চেষ্টা করলে রানা মুক্তিযোদ্ধাকে ধাক্কা দেন। পরে ওই সাংবাদিক বের হয়ে উচ্চস্বরে গালিগালাজ করতে থাকেন। রুম থেকে বের হয়ে দেখি অনেক লোকজন। এ সময় পুলিশও এসেছে। সহকারী কমিশনার ছিলেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
[৮] এ বিষয়ে জানতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
[৯] এ ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমেদ আবু জাফর তীব্র নিন্দা জানিয়ে শফিউজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
[১০] সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার সংগঠনটির উপপ্রচার সম্পাদক মো. রইছ উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনার মাধ্যমে অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও সরকারের স্বচ্ছ এবং জবাবদিহি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের আইন অনুযায়ী, তথ্য চাওয়াকে তারা (প্রশাসন) অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও তথ্যের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করার শামিল।
[১১] বিষয়টি অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে তথ্য কমিশন। বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলমকে আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান